a
ছবি: গান্টেজ ও নেতানিয়াহু
ইসরায়েলে আসন্ন সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সেখানে আবার রাজনৈতিক অচলাবস্থা সৃষ্টি হতে চলেছে। প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার কারনে কোনও পক্ষই মন্ত্রিসভা গঠনের মতো সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেনা বলে জনমতে জরিপে জানা গেছে।
ইসরায়েলের কয়েকটি গণমাধ্যম নির্বাচনের একদিন আগে জনমত জরিপ পরিচালনা করেছে এবং তাতে এই ফলাফল উঠে এসেছে।
গত ২ বছরের মধ্যে এ নিয়ে চতুর্থ দফা সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এসময়ে কোনও নির্বাচনেই কোনও দল বা জোট সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ার ফলে ইসরায়েলে রাজনৈতিক অচলাবস্থা চলে আসছে। নতুন নির্বাচনের মাধ্যমে সেই অচলাবস্থা আরও ঘনীভূত হতে পারে। আগামীকাল ২৩ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠান হবে।
ইসরায়েলের মন্ত্রিসভা গঠন করার জন্য ৬১টি আসন প্রয়োজন কিন্তু জনমত জরিপে দেখা গেছে, বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টিসহ কোনো দল বা জোট এসব আসন পাবে না।
নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া নেতানিয়াহু অনেক চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে বিচার চলছে। অপরপক্ষে, করোনাভাইরাসের মহামারী ব্যবস্থাপনায় চরম অদক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সমালোচনা রয়েছে। সাধারন জনগন তার বিরুদ্ধে কয়েক মাস থেকে বিভিন্ন শহরে এমনকি তার বাড়ির সামনে পদত্যাগের দাবীতে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে আসছে।
ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেনের জন্য অত্যাধুনিক প্যাট্রিয়ট আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠাতে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে রাশিয়া। যুক্তরাষ্ট্রের পরিকল্পনা জানার পর রাশিয়ার পক্ষ থেকে আন্তমহাদেশীয় ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে কৌশলগত পারমাণবিক প্রতিরক্ষাব্যবস্থা প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে রাশিয়া। রুশ বাহিনী তাদের কালুগা অঞ্চলের একটি ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ কেন্দ্রে ‘ইয়ার্স’ নামের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করে রেখেছে। ওই ক্ষেপণাস্ত্র প্রস্তুত করার একটি ভিডিও উন্মুক্ত করেছে প্রতিরক্ষা দপ্তর। তাতে বলা হয়, দেশটির ‘কৌশলগত ক্ষেপণাস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষে এই ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে।
কালুগা অঞ্চলের কোজেলস্কি ক্ষেপণাস্ত্র নির্মাণকেন্দ্রের কমান্ডার আলেক্সি সোকোলভ বলেন, ক্ষেপণাস্ত্রটি পরিকল্পনা অনুযায়ী যুদ্ধের দায়িত্বে থাকবে। এ ছাড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্রে পারমাণবিক অস্ত্র যুক্ত থাকবে। এতে কৌশলগত ক্ষেত্রে যেকোনো সমস্যা সমাধান করা যাবে।
বুধবার ওয়াশিংটনে রুশ দূতাবাস এক বিবৃতিতে বলেছে, ইউক্রেনে মার্কিন প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্রের যেকোনো চালান ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে’ এবং বৈশ্বিক নিরাপত্তাকে হুমকির মুখে ফেলতে পারে।
এর আগে কিয়েভকে যাতে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহ করা না হয়, সে জন্য পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোকে সতর্ক করেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভ। ইউক্রেনে যুক্তরাষ্ট্র প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা পাঠালে সেগুলো রুশ হামলার বৈধ লক্ষ্যবস্তু হবে বলে মন্তব্য করেছে ক্রেমলিন।
ইউক্রেনকে প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষাব্যবস্থা সরবরাহের পদক্ষেপকে ক্রেমলিন একটি উসকানি হিসেবে গণ্য করবে বলে মনে করা হচ্ছে। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রায় ১০ মাস পার হয়েছে। সামনেই বড়দিন বা ‘ক্রিসমাস’। এ উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে মস্কো।
যুদ্ধ বন্ধে বর্তমানে রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে কোনো সংলাপ হচ্ছে না। এখন ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলে ব্যাপক লড়াই চলছে। পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভসহ গোটা ইউক্রেনে বিদ্যুৎ ও পানি সরবরাহ অবকাঠামোয় ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে রুশ বাহিনী।
রাশিয়ার এ ধরনের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা শক্তিশালী করতে পশ্চিমা মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে কিয়েভ। রুশ হামলার কারণে লাখো ইউক্রেনীয় বর্তমানে বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। তীব্র শীতের মধ্যে বিদ্যুৎ না থাকায় তাঁরা নিজেদের ঘরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে পারছেন না।
ইউক্রেনের এক কর্মকর্তার মতে, সারা দেশে ব্যাপক বিদ্যুৎ–বিভ্রাটের পর দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খেরসন সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সূত্র: প্রথম আলো
ছবি সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পরাজিত জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা অভিযোগ করেছেন, “সরকারের সঙ্গে প্রথমে নিজেদের পছন্দের লোকদের সমঝোতা করেছেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় নেতারা। পরে বাকিদের ‘নগ্ন’ করে রাস্তায় ছেড়ে দিয়েছেন তারা। যার প্রতিফলন সারাদেশে দলের ব্যাপক ভরাডুবি।”
রবিবার রাজধানীতে এক সংবাদ সম্মেলনে জাপার পরাজিত প্রার্থীরা এসব কথা বলেন। এসময় তাদের সমর্থকরা উপস্থিত ছিলেন। পরাজিত প্রার্থীরা বলেন, ‘লোভ-লালসার রাজনীতি কর্মীরা করেন না, করেন নেতারা। তাদের বলির পাঁঠা আমরা। অনেকে পাশে থাকার আশা দিলেও পরে আর থাকেননি। দেখা পর্যন্ত করেননি চেয়ারম্যান জিএম কাদের। তবুও নির্বাচনে ভালো কিছু করতে উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছিলাম। কিন্তু আর্থিক ও মানসিক সাহায্য পাইনি। তবে ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সামনে এগুতে হবে। জনগণের আস্থার দাম দিতে হবে।’
জাপার কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মহাসচিবের প্রতি আহ্বান দলকে বাঁচান। বহিষ্কার অব্যাহতি বাদ দিয়ে সবাই দলের হয়ে কাজ করবো। দলকে সুসংগঠিত করুন। দল কেউ ভাঙতে পারবে না। আপনাদের নেতৃত্বেই এগিয়ে যাবো।’
শফিকুল ইসলাম সেন্টু বলেন, ‘ভয়াবহ অবস্থা দলের। এজন্য দায়ী চেয়ারম্যান-মহাসচিব। ভিক্ষা নিয়েও সেটার মধ্যে জালিয়াতি করেছেন তারা। আপনাদের পোস্টার দেখে আওয়ামী লীগও লজ্জা পায়। আপনাদের ভেলকিবাজি সবাই বুঝে গেছে। তবে ক্ষতি হয়েছে দলের। সব দায় চেয়ারম্যান-মহাসচিবের। আঘাতপ্রাপ্ত আর বহিষ্কার লোক একা হয়ে গেছে।’
সাইফুদ্দিন মিলন বলেন, ‘নির্বাচনে না গেলে জাতীয় পার্টি হিরো হতো। জিএম কাদের অনেক কিছু করেছেন দলের জন্য। তার সব শ্রম বৃথা হয়ে যাবে। আপনার বিকল্প নেই। সঠিক নেতৃত্বে আসার আহ্বান জানাই।’